ইউসুফ আরমান:

আলহামদুলিল্লাহ এই বছর আরব দেশে পবিত্র নগরীতে  রোজা রাখার সৌভাগ্য ও তারাবীর নামাজ আদায় করছি। মন জুড়ানো কোরআন তিলাওয়াত উপলদ্ধি করছি। তারাবীর নামাজ পড়ছি শীতল পরিপাটি আবহমান পরিবেশে। মনোমুগ্ধকর কোরআন তিলাওয়াতের সুরের মূর্ছনায় মসজিদে মসজিদে মুসল্লীদের ঢল। মনে হচ্ছে স্বয়ং আল্লাহু রব্বুল আলামিন আসমান থেকে সবে মাত্র কোরআন নাযিল করছে।

বিশ্ব মুসলিমের কাছে পবিত্র রমজান মাস হলো- তাকওয়া এবং কল্যাণমূলক কর্মের বসন্তকাল। রমজানের দিনে রোজা রাখাকে আল্লাহ রব্বুল আলামিন ফরজ করেছেন আর রাতে এশার ফরজ নামাজের পর তারাবী পড়া সুন্নত করেছেন। রমজানে রোজার সাথে সাথে যে ইবাদতটির নাম সর্বাগ্রে আসে তাহল তারাবীর নামাজ।

রমজানের প্রথম দিন সৌদি আরবে তারাবীর নামাজ শুরু হয় তখন আনন্দের আতিশয্যে চোখে পানি চলে আসে সুন্দর কন্ঠের কোরআন তিলাওয়াত শ্রবণ করে। দীর্ঘ সময় নামাজে দাঁড়ানোর কষ্টের অনুভূতি নেই। তদ্রুপ সুন্দর কন্ঠে তিলাওয়াতের প্রতি ইসলামি শরিয়তও গুরুত্ব রয়েছে। এক্ষেত্রে তারাবীর তিলাওয়াতে হাফেজ সাহেবদের যথা সাধ্য সুমিষ্ট ও সুললিত কন্ঠে কোরআন তিলাওয়াত করা।

কোরআনুল কারিমের তিলাওয়াত দুনিয়ার সেরা সুর। পবিত্র কাবা শরিফ ও মদিনার মসজিদে নববির ইমামের কোরআনের সুরে বিমোহিত হয়। তেমন যদি আমাদের দেশের সকল হাফেজ যদি সুললিত ও আবেগঘন কণ্ঠে; কোরআন তিলাওয়াত করতো তবে তা কেমন তো?

তারাবীর নামাজ মূলত আরামের নামাজ। ইসলামি শরিয়তের নিয়ম অনুযায়ী এই নামাজে প্রতি চার রাকাত পর চার রাকাত পরিমাণ বসে আরাম করার বিধান রয়েছে। কিন্তু আমাদের সমাজে পরিলক্ষিত হয় ভিন্ন চিত্র। রমজান এলে যে সব মসজিদে খতম তারাবী হয়, সে সব মসজিদে বলতে গেলে এক ধরনের অঘোষিত প্রতিযোগিতা শুরু হয়। কার আগে কে শেষ করতে পারে, কে কত দ্রুত পড়তে পারে সেটাই বড় হয়ে দাঁড়ায়।

কোরআনুল কারিমের সুন্দর ও সুস্পষ্ট তারাবীতে তিলাওয়াত শুনে শুনে হৃদয়ে কুরআনের প্রতি অন্যরকম ভালবাসার অনুভূতি।
মহান আল্লাহ আমাদের সকল কে উপলদ্ধি ও আমল করার তাওফিক দান করুন।